এনেসথেশিয়া
চারপাশে আলস্যের একটা অস্পষ্ট ধূসর চাদর।ঠায় বসে আছি তো আছিই।দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙার ইচ্ছে নেই,কোনো আজেবাজে ব্যস্ততার ফুরসত নেই।এমনকি মন ভালো-মন খারাপ কোনটা নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে রেখেছে সেটাও দেখতে মন চাইছে না।বেশ আছি।একরত্তি অনুভূতি নেই,সেরেটোনিন নেই,এড্রেনালিন নেই..অসার সত্তা।বাতি জ্বালিয়ে চলে গেছে কে যেন এই দিনেদুপুরে,থাকুক,কে যায় নেভাতে?একটা টিকটিকি দেয়াল বেয়ে কিছুদূর উঠছে,আবার খানিকটা নেমে যাচ্ছে।অনেক দূরের কোনোকিছুর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে একটা সময় দেখবেন,কিছুই দেখা যাচ্ছে না স্পষ্ট করে,ব্লার হয়ে গেছে সবকিছু।ঠিক তেমনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অসীম সংখ্যক অযথা-যথাযথ-আস্তাকুঁড়ের জঞ্জাল বিষয়পাতি নিয়ে একটানা কিছুক্ষণ ভেবে দেখুন,একটা সময় গিয়ে স্নায়ুতন্তু আর ঠিকঠাক কাজ করবে না।নিউরনের ভোল্টেজ কমে যাবে।সিন্যাপ্সের কলকব্জা খুলে যাবে।
সেই সময়টা বেশ মজার।তখন চিন্তাঘুড়ির ওপর আমাদের আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।একটা নীল রঙের ড্রাগন হয়ে চিন্তাঘুড়িটা আকাশে উড়তে শুরু করে,বাতাসের সাথে দিগবিদিক ঘোরে,সবুজরঙা আগুন বেরোয় সেটার নিশ্বাসের সাথে;মন ভালো করে দেওয়া সবুজ না,দেখে ভালো লাগে না,আবার খারাপও লাগে না,এনেসথেটিক একটা রঙ সেটার,পা,মাথা,স্বপ্ন,ঠিক-বেঠিক,সত্য-মিথ্যে সব নেই করে দেয়।
আগুনটা থেকে যায় আকাশের চিত্রপটে,ধিকধিক করে জ্বলে।
😍😍😍
ReplyDeleteখুব ভালো 😮
ReplyDelete