হ-য-ব-র-ল
একেকটা দিন থাকে না?বিকেল পর্যন্ত সকাল হয়ে থাকে?আলস্যের গান শুনতে শুনতে আমাদের সেরেব্রামের ডানা গজায়...উড়তে উড়তে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে গিয়ে ইকারাস হয়ে যাই...সেসব দিনে আমাদের নার্ভ সিগন্যাল কেমন যেন অদ্ভুতুড়ে আচরণ করে...তর্ক করি একরাশ গাম্ভীর্য নিয়ে...নিজের সাথে...নিজের অল্টারনেট এনটিটির সাথে...সেই তর্কের কোনো বাঁধাধরা বিষয় নেই...জয়-পরাজয় নেই,তবু কেন যেন সেই তর্ক বেশ উপভোগ্য।কেরোসিনের ঘ্রাণের মত বিরক্তিকর মোহময়তা নিয়ে সকাল-দুপুর-বিকেল-সকালটা শেষ হয়ে যায়...আমরা ধপ করে বাস্তবতায় ফিরে আসি...তখন আমাদের ভেতরের রাগ-অনুশোচনা-ক্ষোভ-ভালোলাগা সব মিলে কিম্ভুতকিমাকার জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়...সেসব দিনে কেন জানি মাথা তুলে বীভৎস এই পৃথিবীকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
বৃষ্টির শব্দ একেকটা সারফেসে একেকরকম হয়...মস্ত লম্বা নারকেল গাছের পাতায় বেশ সৌম্য ভাব নিয়ে...কোটিপতির দামি গাড়িতে কেমন যেন একঘেয়ে...আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তাটায় বেশ ক্ষোভ নিয়ে এগ্রেসিভলি।একটানা তাকিয়ে থাকলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে...যেমন আসতো স্কুলের ক্লান্তিকর দিনের শেষে রিকশা নিয়ে বাসায় আসার সময়...তখন আমাদের গল্পে কোনো একক প্রোটাগনিস্ট নেই,সম্মিলিত একটা ন্যারেটিভে আমাদের জীবন বাঁধা পড়ে আছে....আমাদের অবশ্য খুব বেশি মাথাব্যাথা নেই...টেক্সটবুকের তলায় গোয়েন্দা বই আর স্পাই থ্রিলার পড়ে আমাদের দিন বেশ কেটে যায়...মাথার ওপর চড়াও নক্ষত্রের তেজে স্যান্ডো গেঞ্জির 'ইউ' এর উপরের অংশ ভিজে একশেষ তখন...আমাদের লিম্বিক সিস্টেমের দৌড় প্রতিযোগিতায় তখন মন ভালো করে দেওয়া ইমোশন বেশ বড় ব্যবধানে জেতে...তখনো আমাদের মননে কনফিউজিং ব্যাপারস্যাপার রাজত্ব করতে শেখেনি...ব্লিক ল্যান্ডস্কেপ দেখলে তখনো মন খারাপ হত...এখনো হয়..পার্থক্য শুধু একটাই,তখন কেন জানি মন খারাপের মধ্যে এক চিমটি ভালোলাগা উঁকি দিত,এখন দেয় না!
নস্টালজিয়া বেশ ভালো একটা স্টোরিটেলার কিন্তু,অস্তিত্বের সমস্তটা জুড়ে জেঁকে বসে থাকে।
😍😍😍
ReplyDeleteবাহ!
ReplyDeletenais
ReplyDelete